মনিকা রানী কর্মকার নামে ওই শিক্ষার্থী গত ২৭ সেপ্টেম্বর বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনায়েত উল্লাহ’র আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য হলফনামা (এফিডেভিট) দেন।
এফিডেভিট এ উল্লেখ করা হয়, তিনি (মনিকা রানী কর্মকার) প্রাপ্ত বয়স্ক। ছোটবেলা থেকে মুসলিম প্রতিবেশী ও বান্ধবীদের সঙ্গে উঠাবসা ও চলাফেরার কারনে তাদের থেকে মুসলিম ধর্ম সম্পর্কে জানতে পারেন।
এছাড়া রেডিও, টেলিভিশন ও ধর্মীয় আলোচনা শুনে ইসলাম ধর্মের প্রতি আগ্রহী হই। মুসলিম ধর্মের ন্যায় পরায়নতা, সততা, শান্তিময় ও পবিত্র জীবন এবং মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী ও হাদিস তাকে মুগ্ধ করে। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি ও পরিচিত মুসলিম হিতৈষী ব্যক্তিদের তার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেই। ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা এড়াতে আদালতের মাধ্যমে হলফনামা সম্পাদন করেন তিনি। এরপর তিনি ইসলাম ধর্মের রীতিনীতি অনুযায়ী পবিত্র হয়ে স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে গিয়ে কালেমা পড়ে মুসলমান হয়েছেন।
আফিয়া সিদ্দিকা আফরাহ্ বাবা সুকুমার চন্দ্র কর্মকার জানান, আমার মেয়ে ধর্ম পরিবর্তনের বিষয়টি জানা ছিল না। তিনদিন আগে মনিকা (বর্তমানে আফিয়া) বিষয়টি আমাকে জানায়। এরপর সে বাড়ি থেকে চলে যায়। তখন আমার মাথায় কোন কাজ করছিল না। তাকে বোঝানোর চেস্টা করেছি । লাভ হয়নি। সে প্রাপ্ত বয়স্ক। বোঝানো ছাড়া এর বেশি কিছুই করার ছিল না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।